• বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪, ২ জৈষ্ঠ ১৪২৯

সারা দেশ

সোনারগাঁয়ে তীব্র গরম আর লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ জনজীবন

  • ''
  • প্রকাশিত ০৬ এপ্রিল ২০২৪

সোনারগাঁও ( নারায়ণগঞ্জ ) প্রতিনিধি:

তীব্র গরম আর ভয়াবহ লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ সোনারগাঁয়ের জনজীবন। গরম আর লোডশেডিংয়ে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে সাধারণ ও খেটে খাওয়া মানুষ। লোডশেডিংয়ের কারণে মুসল্লিদের পবিত্র রমজানের তারাবি পড়তে কষ্ট হচ্ছে এবং রাতে ঘুমাতেও পারছে না। ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প প্রতিষ্ঠান বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে। দিন-রাত ঘণ্টার পর ঘণ্টা বিদ্যুৎ না থাকার কারণে স্থানীয় শিল্প মার্কেট, জামদানি পল্লী, হাসপাতালগুলোতে প্রভাব পড়ছে। বিভিন্ন পেশাজীবীর শ্রমিকরা অল্প সময় কাজ করে হাঁপিয়ে উঠছে। তীব্র গরমে অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। স্থানীয় বিদ্যুৎ চাহিদার শতকরা ৩০ মেগাওয়াট বিদ্যুতের ঘাটতি সমন্বয় করতে নিয়মিত লোডশেডিং করতে হচ্ছে বলে স্থানীয় পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন।

স্থানীয় অটো চালক মো. রিটন মিয়া জানান, রোজা রেখে তীব্র গরমে তার অটো চালাতে প্রচণ্ড কষ্ট হচ্ছে। অন্যদিকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা লোডশেডিংয়ের কারণে অটোরিকশা ঠিকমতো চার্জ দিতে পারছে না। ফলে এবারের ঈদে পরিবারের প্রয়োজনীয় অর্থের জোগান দিতে পারবেন কিনা এ বিষয়ে সন্ধিহান রয়েছেন তিনি।

মো. আ: সালাম জানান, এমনিতেই তীব্র গরম তার ওপর ঘণ্টার পর ঘণ্টা লোডশেডিং থাকার কারণে গরমের তীব্রতা বেড়ে যায়। এতে করে অনেক সময় অসুস্থ হয়ে পড়ি। বাড়ির শিশু থেকে বয়স্করা সবচেয়ে বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ছে। জামদানি শিল্পী আবু তাহের জানান, ঈদকে সামনে রেখে জামদানি পল্লীতে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করার কথা। বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে তীব্র গরমে জামদানি উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। ফলে কারিগর ও ব্যবসায়ীদের আশানুরূপ মুনাফা হবে না বলে দাবি তার।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সাবরিনা হক জানান, গরমে হিটস্ট্রোকের কোনো রোগী আমাদের এখানে এখনো পর্যন্ত আসেনি। তবে হিটস্ট্রোক এড়াতে বেশি বেশি পানি পান করা, প্রচণ্ড রোদ বা তাপ এড়িয়ে চলা ও প্রয়োজনীয় বিশ্রাম নেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। তবে সারাদিন রোজা রেখে ইফতারিতে স্বাস্থ্যসম্মত খাবার খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন এ চিকিৎসক। ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী হাবিবুর রহমান জানান, গরম ও লোডশেডিংয়ের কারণে কাস্টমার কম হওয়ায় ব্যবসা খুবই খারাপ যাচ্ছে। স্থানীয় পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের এজিএম জানান, স্থানীয় বিদ্যুতের চাহিদার শতকরা ৩০ মেগাওয়াট বিদ্যুতের ঘাটতি সমন্বয় করতে নিয়মিত লোডশেডিং করতে হচ্ছে। তিনি আরও জানান, এটি নিয়ন্ত্রণ করছেন ন্যাশনাল লোড ডিপাচ সেন্টার। তবে শিগগিরই এ সমস্যার নিরসন হবে বলে জানান তিনি।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads